ওয়েব ব্রাউজার কি, কোড এডিটর কি এবং কালার পিকার কি? ওয়েব ডিজাইনের এই পর্বে এগুলো নিয়ে আলোচনা করব।

ওয়েব ডিজাইন টিউটোরিয়াল এর দ্বিতীয় পর্বে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। এই পর্বে আমি আমাদের এই কোর্সে কি কি সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত বলার চেষ্টা করব।

 


 

গত পর্বে বলেছিলাম একটি কম্পিউটার অথবা একটি ৫ ইঞ্চি ডিসপ্লে বা তার থেকে বড় কোন মোবাইল হলেই আপনারা ওয়েব ডিজাইন প্র্যাকটিস করতে পারবেন। তো বলতেছিলাম কি কি সফটওয়্যার লাগবে-

প্রথমে আমাদের একটি ব্রাউজার লাগবে যেটির সাহায্যে আমরা আউটপুট দেখতে পারবো বা ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে পারব। 

 

এখন আপনাদের মনে হতে পারে ব্রাউজার কি? 

আপনাদের অনেকেরই এই ব্রাউজার সম্পর্কে আগে থেকে ধারণা রয়েছে। ব্রাউজার বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। যেমন:

১। গুগল ক্রোম, 
২। মজিলা ফায়ারফক্স,   
৩। ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার(ডিফল্ট ব্রাউজার ফর উইন্ডোজ ৭ এবং উইন্ডোজ ৮),  
৪। মাইক্রোসফট এজ(ডিফল্ট ব্রাউজার ফর উইন্ডোজ টেন),    
৫। ওপেরামিনি এবং   
৬। সাফারি। ইত্যাদি

বিগেনারদের জন্য গুগল ক্রোম এবং মজিলা ফায়ারফক্স বেটার। আমরা এই দুইটা ব্রাউজার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব। ব্রাউজার দুটি পেতে হলে আপনারা কম্পিউটার এর ডিফল্ট ব্রাউজার ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার বা মাইক্রোসফট এজ ওপেন করবেন।গুগল ক্রোম ব্রাউজারের জন্য গুগল এ গিয়ে সার্চ করবেন "google chrome" । গুগল ক্রোমের ওয়েবসাইট আসবে সেখান থেকে ক্রোম ব্রাউজার টা কে ডাউনলোড করবেন ।

 

এরপরে মজিলা ফায়ারফক্সের জন্য গুগলে গিয়ে সার্চ করবেন "mozilla firefox" । মজিলা ফায়ারফক্সের ওয়েবসাইট আসবে। সেখান থেকে মজিলা ফায়ারফক্স সফটওয়্যারটাকে ডাউনলোড করবেন। তারপরে আমাদের একটি এডিটর লাগবে।

 

কোড এডিটর বলতে কি বুঝায়? 


কোড এডিটর হচ্ছে এমন একটি টেক্সট এডিটর যেখানে আমরা কোড লেখালেখি করব। অনেক ধরনের এডিটর রয়েছে। যেমনঃ

১। নোটপ্যাড প্লাস প্লাস, 
২। সাবলাইম টেক্সট থ্রি,      
৩। ব্রাকেটস,
৪। এটম,      
৫। ভিসুয়াল স্টুডিও, ইত্যাদি। 

 

আমরা যেহেতু বিগিনিং পর্যায়ে রয়েছি । তাই আমরা নোটপ্যাড প্লাস প্লাস এডিটর টা ইউজ করতে পারি। এই নোটপ্যাড প্লাস প্লাস সফটওয়্যার টা যেভাবে পাবেন। প্রথমে গুগলে গিয়ে সার্চ করবেন "notepad++" । নোটপ্যাড প্লাস প্লাস এর ওয়েবসাইট আসবে। সেখান থেকে আপডেট ভার্সন ডাউনলোড করে নিবেন।

 

(আর যদি উইন্ডোজ টেন হয় তাহলে আপনার কম্পিউটার এর ডিফল্ট ব্রাউজার হচ্ছে মাইক্রোসফট এজ। এটি ওপেন করে তারপরে গুগলে গিয়ে সার্চ দিবেন।)

 

আর মোবাইলের জন্য গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে নোটপ্যাড প্লাস প্লাস লিখে সার্চ করবেন। সেখান থেকে যে এপসটি ভালো মনে হয় বা যেটির রেটিং বেশি সেটি ইন্সটল করতে পারেন।

 

এর পরে কালার পিক করার জন্য একটি কালার পিকার সফটওয়্যার লাগবে।

বিভিন্ন রকমের কালার পিকার রয়েছে। যেগুলো দিয়ে আমরা আমাদের ইচ্ছামত কালার পিক করতে পারি। মনে করুন আপনার ডেক্সটপে এমন একটি ডিজাইন রয়েছে যেখানে বিভিন্ন কালার রয়েছে। তো আপনার ওইখানে যে কালার টা পছন্দ আপনি কালার পিকার এর সাহায্যে সেই কালার এর কোড কপি করতে পারবেন। "পিক্সি" হচ্ছে অসাধারণ একটি কালার পিকার। মাত্র ১১ কিলোবাইটের একটি সফটওয়্যার। এটির যেহেতু পোর্টেবল ভার্সন রয়েছে তাই এটি মুহূর্তের মধ্যে ওপেন হয়ে যায়। তো আপনি নিঃসন্দেহে পিক্সি কালার পিকার টি ইউজ করতে পারেন। আশা করি অনেক অনেক পছন্দ হবে আপনাদের। ডাউনলোড করার জন্য গুগল এ গিয়ে সার্চ করবেন "pixie"। পিক্সি (pixie) এর ওয়েবসাইট আসবে। সেখান থেকে ডাউনলোড করবেন। 

 

কালার পিকার ছাড়াও আরো অনেক ওয়েব সাইট আছে। যেখানে অনেক অনেক কালার কোড পাওয়া যায়। গুগলে গিয়ে সার্চ করবেন html color picker। অনেক অনেক ওয়েব সাইট আসবে সেখান থেকে আপনার পছন্দের ওয়েবসাইট টা বেছে নিতে পারেন।

 

যে কয়েকটি সফটওয়্যার এর কথা বললাম মিনিমাম এ কয়টি সফটওয়্যার হলে আমরা ওয়েব ডিজাইন প্র্যাকটিস করা শুরু করতে পারব। আজকের পর্ব পর্যন্ত । আগামী পর্বে আমরা কম্পিউটারের একটি গুরুত্বপূর্ণ সেটিং হচ্ছে ফাইলের এক্সটেনশন শো করানো। কিভাবে ফাইল এক্সটেনশন শো করতে হয় তাই নিয়ে আলোচনা করব। শুধু ওয়েব ডিজাইন করার ক্ষেত্রে নয়। প্রতিটি প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজের জন্য আমাদের ফাইলের এক্সটেনশন শো করানোর প্রয়োজন হয়। তাই আগামী পর্ব টি তে আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

ধন্যবাদ! সবাই ভাল থাকবেন। সুস্থ থাকবেন।

Post a Comment

Post a Comment (0)

Previous Post Next Post