ওয়েব ডিজাইন এর এই পর্বে ফাইল এক্সপ্লোরার অপশন, ফাইল এক্সটেনশন শো করা নিয়ে আলোচনা করবো।

ওয়েব ডিজাইন টিউটোরিয়াল এর এই পর্বে প্রযুক্তি প্লাস এর পক্ষ থেকে আপনাকে স্বাগতম জানাচ্ছি। 

 


 

 

এই পর্বে আমরা আমাদের কম্পিউটারের ফাইল গুলোর এক্সটেনশন শো করানোর জন্য একটি সেটিং করে নিতে হবে। কারণ ফাইল এক্সটেনশন শো করিয়ে নিলে ফাইলগুলো চিনতে সুবিধা হবে। 

 

ফাইল এক্সটেনশন টা আবার কি? 

ফাইল এক্সটেনশন হচ্ছে ফাইলের ধরন বা ফরম্যাট। ফাইল এক্সটেনশন দেখেই আমরা বুঝতে পারবো কোন ফাইল টা কোন সফটওয়্যার দিয়ে তৈরি। যেমনঃ আমরা যদি মোবাইল দিয়ে কোন ছবি তুলি তাহলে সেই ছবিটি বেশিরভাগ সময় ".jpg" এক্সটেনশনে তৈরি হয়। সুতরাং এই ক্ষেত্রে ইমেজের ফাইল এক্সটেনশন হচ্ছে ".jpg"। এভাবে ইমেজের আরো অনেক অনেক ফাইল এক্সটেনশন আছে। যেমন: ".png", ".gip" ইত্যাদি। ইমেজের এই ফাইল এক্সটেনশন এর প্রত্যেকটা আলাদা আলাদা বিশেষত্ব আছে। যেমন জিপিজি ইমেজ গুলোর কোয়ালিটি তুলনামূলক কম হয়। 

পিএনজি এক্সটেনশনের ইমেজ গুলোর কোয়ালিটি একটু ভালো হয়।তবে এটার সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে আমরা যদি কোন ইমেজ এর ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করে সেভ করতে চাই সেই ক্ষেত্রে ইমেজটাকে পিএনজি মুডে সেভ করতে হয়। ব্যাকগ্রাউন্ড ব্যতীত ইমেজ গুলোকে ট্রান্সপারেন্ট ইমেজ বলে। ওয়েব ডিজাইনের ক্ষেত্রে এ ট্রানস্পরেন্ট ইমেজ এর ব্যবহার অনেক অনেক বেশি। 

এরপরে আমরা অনেক সময় কিছু কিছু ইমেজকে এনিমেট করতে দেখতে পাই। উদাহরণস্বরূপ: ঈদ মোবারক, শুভ জন্মদিন ইত্যাদি এ ধরনের লেখা এনিমেট করে। আমরা যদি অ্যানিমেশন যুক্ত কোন ইমেজ তৈরি করতে চাই সেক্ষেত্রে আমাদের কয়েকটি ইমেজকে পাশাপাশি রেখে ".gip" মুডে সেভ করতে হয়। এই ইমেজ গুলোকে জিপ ইমেজ বলে।

এরপরে আমরা ভিডিও ফাইলের এক্সটেনশন নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করব। আমরা ভিডিও ফাইলের এক্সটেনশন হিসেবে .mp4 এর সাথে বেশি পরিচিত। আরো আরো অনেক ভিডিও ফাইলের এক্সটেনশন রয়েছে। যেমনঃ .mkv, .wmv,  ইত্যাদি। ভিডিও গুলোকে ওপেন করার জন্য আমাদের ভিডিও প্লেয়ার এর প্রয়োজন হয় আমরা সবাই জানি। কিন্তু সকল প্লেয়ার সব ধরনের এক্সটেনশন সহ ভিডিও প্লে করতে পারেনা। সে ক্ষেত্রে অনেক সময় কনভার্টার দিয়ে হোক বা বিভিন্ন কারণে আমাদের ফাইল এক্সটেনশন গুলো পরিবর্তন করার প্রয়োজন হতে পারে। এরপরে অডিও ফাইলের এক্সটেনশন স্বরূপ আমরা .mp3 এর সাথে বেশি পরিচিত। এছাড়া আরো অনেক অনেক এক্সটেনশন রয়েছে অডিও ফাইলগুলো ।আমরা পরবর্তীতে কোন এক সময় এগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

 

ফাইল এক্সটেনশন শো না করলে কি কি সমস্যা হতে পারে?

আমরা যখন কোন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ শেখা শুরু করি তখন আমাদের ফাইল এক্সটেনশন চেঞ্জ করতে হয়। যে ল্যাংগুয়েজ শিখতে চাই সেই ল্যাঙ্গুয়েজ এর নির্ধারিত ফাইল এক্সটেনশনে আমাদের তৈরি করা ফাইল সেভ করতে হয়। তা না হলে ফাইল এর ভেতরে ঐ ল্যাঙ্গুয়েজ সাপোর্ট করেনা। সুতরাং আমরা যখন এইচটিএমএল করা শুরু করবো তখন আমাদের ফাইলটি ".html" ফাইল এক্সটেনশনে সেভ করতে হবে। আবার যখন সিএসএস করা শুরু করবো তখন ফাইল গুলোকে (.css) ফাইল এক্সটেনশনে সেভ করব। এভাবে যখন যে ল্যাঙ্গুয়েজ নিয়ে কাজ করব তখন সেই ল্যাঙ্গুয়েজে করে দেয়া নির্ধারিত ফাইল এক্সটেনশনে ফাইলটি সেভ করতে হবে।

 

কম্পিউটারের কোন অপশন থেকে ফাইল এক্সটেনশন শো করতে হয়?

প্রথমে ডেক্সটপ এর নিচে বাম দিকে একটি সার্চ বাটন পাবেন। সেখানে গিয়ে সার্চ করবেন "কন্ট্রোল প্যানেল"। উপরে বাম পাশে কন্ট্রোল প্যানেল লেখা দেখতে পাবেন সেখানে মাউস দিয়ে ডাবল ক্লিক করবেন। কন্ট্রোল প্যানেলের উইন্ডো ওপেন হবে। যদি ক্যাটাগরি সিলেক্ট করা থাকে। সেখান থেকে স্মল আইকন সিলেক্ট করবেন।তারপরে দেখবেন কন্ট্রোল প্যানেলের যাবতীয় সকল অপশন আপনার সামনে পৃথক ভাবে উপস্থাপন করা হবে। উইন্ডোজ ৭ এবং উইন্ডোজ ৮ এর জন্য "ফোল্ডার অপশন" এ ক্লিক করবেন আর উইন্ডোজ 10 এর জন্য "ফাইল এক্সপ্লোরার অপশনে" ক্লিক করবেন। দেখবেন একটি পপ আপ উইন্ডো আসবে। সেইভ উইন্ডো থেকে "ভিউ" ট্যাবে ক্লিক করতে হবে। পপ আপ উইন্ডো তে একটু নিচের দিকে "হাইড এক্সটেনশনস ফর নোন ফাইল টাইপস" লেখাটির সামনে যদি টিক চিহ্ন দেয়া থাকে তাহলে সেটিকে উঠিয়ে দিয়ে "এপ্লাই" বাটনে ক্লিক করে তারপর "ওকে" বাটনে ক্লিক করবেন। এতে করে আপনার কম্পিউটারের যত প্রকারের ফাইল আছে সকল ফাইল এর এক্সটেনশন গুলো দেখতে পাবেন। এই কনফিগার টি যে কোন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এর জন্য প্রয়োজন।

 

আজকের পর্ব এখানে শেষ করতেছি। আগামী পর্বের আমন্ত্রণ জানিয়ে এখানেই শেষ করছি। সবাই ভালো। থাকবেন সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ!

Post a Comment

Post a Comment (0)

Previous Post Next Post