IMF এর সদর দপ্তর ওয়াশিংটন ডিসি তে । এর সদস্য সংখ্যা ১৮৯। IMF এর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ পদ হচ্ছে ম্যানেজিং ডিরেক্টর। ম্যানেজিং ডিরেক্টর এর কাজ হচ্ছে সার্বিক মনিটরিং করা। হতে পারে সেটা ব্যাংকিং খাত এবং নন ব্যাংকিং খাত। দুইটাকে ম্যানেজিং ডিরেক্টরের দেখাশোনা করা লাগে।
বাংলাদেশের সদস্যপদ গ্রহণ: ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। ঠিক পরবর্তী বছর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ বিশ্ব ব্যাংক এবং IMF এর সদস্যপদ লাভ করে।
সাধারণত ব্যাংকের কাজ হল আমানত সংগ্রহ করা আর সেখান থেকে ব্যবসায়ীদের ঋণ দেওয়া। এখানে আমানত আর ঋণের সুদের পার্থক্যই হচ্ছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান এর আয়। আমানত এবং ঋণের সুদের হারের পার্থক্য হবে সর্বোচ্চ ৫%। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে এ ঋণের সুদের হারের পার্থক্য বৃদ্ধি করে ৫.৫%।
বিশ্বব্যবস্থা ৮০র দশকে আর্থিক খাতে সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যে নীতিমালা গ্রহণ করে তার নাম
LRA = Lending Risk Analysing,
LRG = lending Risk grading
পরবর্তীকালে ৯০ এর দশকে এই দুটি সংস্থায় কিছু সীমাবদ্ধতা পরিলক্ষিত হয়। ফলে নতুন নীতিমালা তৈরি করা হয় যার নাম দেওয়া হয় ক্লাসিফিকেশন অফ লোন (Classification of Loan)।
ঋণের শ্রেণীবিভাগ: ঋণকে মূলত ৫টি ভাগে ভাগ করা হয়-
১। Standard - ১ বছরের লোন হলে এটি কার্যকর হবে।
২। Special Mention - পরের ২ মাস অতিক্রম করলে এটি কার্যকর হবে।
৩। Sub Standard - পরের ৩ মাস অতিক্রম করলে এটি কার্যকর হবে।
৪। Doubtful - পরের ৫ মাস অতিক্রম করলে এটি কার্যকর হবে।
৫। Bad and Loan - ৯ মাস অতিক্রম করলে।
ITO = International Trade Organization
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থা: আইটিও ছিল বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণের জন্য আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান এর একটি প্রস্তাবিত নাম। ১৯৪৫ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে এই প্রস্তাবকে অনুমোদন দিয়ে এই সংগঠনটি তৈরি করার প্রচেষ্টা করা হয়েছিল। অবশেষে মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদন এর অভাবে একটি ব্যর্থ হয়। কারণ একই সময়ে এর থেকে আরও নির্ভরযোগ্য একটি সংস্থা তৈরি করার আলোচনা চলছিল। সংস্থাটির নামকরণ করা হয়েছিল গ্যাট(GATT)।
GATT = General Agreement on Tariffs and Trade
জিএটিটি বা গ্যাট: গেট হচ্ছে অনেক দেশের মধ্যে একটি আইনি চুক্তি। যেটার উদ্দেশ্য ছিল কর কমানো বা বাদ দেওয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকে প্রচার করা। গ্যাট কে বাস্তবায়ন করার জন্য ১৯৪৭ সালের ৩০ অক্টোবর জেনেভায় ২৩ টি দেশ এই আইনি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল এবং ১৯৪৮ সালের ১ জানুয়ারিতে গ্যাট কার্যকর হয়েছিল।
GATT এর সম্মেলন সমূহ Round নামে পরিচিত। কারণ সম্মেলন সমূহ দীর্ঘকালব্যাপী অনুষ্ঠিত হতো। এমনকি
৫ থেকে ৭ বছর পর্যন্ত দীর্ঘ হত। যেমন:
টোকিও রাউন্ড: ১৯৭২ থেকে ১৯৭৯ পর্যন্ত গ্যাটের সময়কে টোকিও রাউন্ড বলা হয়।
উরুগুয়ে রাউন্ড: ১৯৮৬ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত গ্যাটের সময়কে উরুগুয়ে রাউন্ড বা শেষ রাউন্ড বলা হয়। এরাউন্ড ৭ বছর ৪ মাস দীর্ঘস্থায়ী হয়েছিল। একটা পর্যায়ে উরুগুয়ে রাউন্ড ব্যর্থ হয়। ব্যর্থতার কারণ ছিল তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে উন্নত বিশ্ব কৃষিতে ভর্তুকি দিতে পারবে না।
উরুগুয়ে রাউন্ড এর ব্যর্থতার পর গ্যাট পূনর্গঠনের জন্য অর্থনীতিবীদ রবার্ট ডাংকেল কে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করেন। এই কমিটি গ্যাট বিষয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ১৯৯৪ সালে মরক্কোর মারাকেশ শহরে ১টি সম্মেলনের আয়োজন করে। এ সম্মেলনের নাম দেওয়া হয়েছিল মারাকেশ সম্মেলন। এ সম্মেলনে ৪টি চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়।
১। GATS = General Agreement on Trend Science
২। TRIP = Trade Related Intellectual Property Rights
৩। TRIM = Trade Related Investment Measure
৪। MFN = Most Favored Nations
১৯৯৪ সালের ১৫ এপ্রিল মাসে ১২৩ টি দেশ এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। এই চুক্তির মধ্য দিয়েই গ্যাটের কার্যক্রম শেষ হয়। সৃষ্টি হয় নতুন সংস্থার। যার নাম ছিল ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন (WTO)।
ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন: উরুগুয়ে চুক্তির মধ্য দিয়ে ১৯৯৫ সালের ১লা জানুয়ারি গ্যাট(GATT) এর পরিবর্তে যে নতুন সংস্থা তৈরি হয় তার নাম দেওয়া হয় ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন(WTO)। এটির সদরদপ্তর সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থিত। ১৯৯৫ সাল থেকে বাংলাদেশ ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন এর সদস্য।
আজকের পর্ব এই পর্যন্তই। আগামী পর্বের আমন্ত্রণ জানিয়ে আজ এখানেই শেষ করছি। সবাই ভালো থাকবেন! নিরাপদে থাকবেন! সুস্থ থাকবেন! ধন্যবাদ!
Post a Comment