উৎপাদন ব্যবস্থা: ইউরোপীয় উৎপাদন ব্যবস্থা প্রাথমিক পর্যায়ে ছিল আদিম সাম্যবাদী সমাজ। এখানে কোন শ্রেণী দ্বন্দ্ব ছিল না। পরবর্তীতে শিকার ও সংগ্রহ সমাজ ব্যবস্থা চালু হলে শ্রেণী দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর প্রেক্ষিতে গোষ্ঠীবদ্ধ জীবন শুরু হয়। ফলে নগর নদীকেন্দ্রিক রাস্ট্র ব্যবস্থা গড়ে ওঠে। যাকে নগর রাষ্ট্র বা সিটি এস্টেট বলা হয়।
পরবর্তীতে জাতীয়তাবাদী চেতনায় যেসকল রাষ্ট্র হয় তাদের জাতি রাষ্ট্র বা Nation State বলা হয়।
ইউরোপীয় রাষ্ট্র ব্যবস্থায় প্রায় সকল দেশেই রাজতন্ত্র বা এক ব্যক্তির শাসন বিদ্যমান ছিল। ইউরোপীয় জনগণ এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু করে। এক্ষেত্রে ১৯৬৯ সালের বুরবো(ফ্রান্স) রাজাদের শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ফরাসি জনগণের আন্দোলন বা বিপ্লব অন্যতম ভূমিকা পালন করে। এর মাধ্যমে ১৭৮৯ সালে ফরাসি বিপ্লব সংঘটিত হয়। যে বিপ্লবকে আধুনিক ইউরোপের সূতিকাগার বলা হয়। পরবর্তীতে বিংশ শতকের প্রথম ভাগে রুশ বিপ্লবের মাধ্যমে ইউরোপীয় রাজতন্ত্রের পতন ঘটেছিল। বর্তমানে শিল্প বিপ্লব এর প্রভাবে ইউরোপে সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের বিপ্লব ঘটেছে।
ফরাসি বিপ্লব: এক সময় ফ্রান্সের পূর্ব রাজবংশের লোকেরা শাসন করতো। পূর্ব রাজা চতুর্দশ লুই এর নীতি ছিল আই এম দা স্টেট অর্থাৎ আমিই রাষ্ট্র। এরপর পঞ্চদশ লুই ফ্রান্সের রাজা হয়ে রাষ্ট্রের সব অর্থনীতি ধ্বংস করে ফেলে। ১৭৭৪ সালে রাজা ষোড়শ লুই মাত্র ২০ বছর বয়সে ফ্রান্সের সম্রাট হয়েছিলেন। ২১ বছর বয়সী এন্টনে কে বিয়ে করেন। ষোড়শ লুই এর নীতি ছিল what I desire is decree(আমার ইচ্ছাই আইন)। এসময় তিনি ফ্রান্সের জনগণকে তিন ভাগে ভাগ করেছিলেন
১। ফার্স্ট স্টেট (অভিজাত - যারা রাজপ্রাসাদে চাকরি করতো)
২। সেকেন্ড স্টেট (যাজক - ধর্মগুরু)
৩। থার্ড স্টেট (সাধারণ - কৃষক, শ্রমিক)
অভিজাত্যের ট্যাক্স দিতে হবে না দিতে হবে না। যাজক অর্থাৎ ধর্মগুরুদের ট্যাক্স দিতে হবে না। সব ট্যাক্স সাধারন জনগন দিবে।
রাজা প্রথম দুই শ্রেণীতে অব্যাহতি দিয়ে সকল কর তৃতীয় শ্রেণীর উপর অর্থাৎ সাধারণ জনগণের ওপর আরোপ করলে জনগণ রাজার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে।
রানীর পরামর্শ: রানীর পরামর্শে দুটি নতুন কর আরোপ করে। প্রথমটি হচ্ছে পথ কর এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে প্রমোদ কর। ফলে আন্দোলন আরো বেগবান হলে রাজা সাধারণ জনগণকে গ্রেফতার করে বাস্তিল কারাগারে বন্দি করে।
অভিজাত শ্রেণীর ২জন সদস্য (মিরাবো এবং বেইল) আন্দোলনে যোগ দিয়ে টেনিস কোর্ট নামক জায়গায় একটি শপথের আয়োজন করে। এখানে শপথ বাক্য পাঠ করান মিরাবো এবং বেইল। শপথের মূল কথা ছিল "আমরা সবাই একসাথে এই আন্দোলন করবো"।
শপথ অনুযায়ী ১৭৮৯ সালের ১৪ জুলাই বাস্তিল দুর্গ আক্রমণ করে বন্দীদের মুক্ত করা হয়। এই দিনটি ফরাসি বিপ্লবের দিন হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এজন্য ফ্রান্সে ১৪ জুলাই জাতীয় দিবস পালন করা হয়। তবে বিপ্লবটি সম্পন্ন হয়েছিল ১৭৯৯ সালে।
এ বিপ্লবের স্লোগান ছিল সাম্য, মৈত্রী এবং ভ্রাতৃত্ব। এই বিপ্লবে তিনজন দার্শনিক এর লেখালেখির মাধ্যমে সবাই অনুপ্রেরণা পেয়েছিল। নিচে কিছু মহৎ মানুষের গুরুত্বপূর্ণ উক্তি উল্লেখ করা হলো।
রুশো - মানুষ জন্মগতভাবে স্বাধীন হলেও সর্বত্র সে শৃঙ্খলিত।
ভল্টেয়ার - অস্ত্রের চেয়ে কলম বড়/ অসির চেয়ে মসি বড়।
মন্টেস্কু- এর একটি উল্লেখযোগ্য বই হচ্ছে "স্প্রিট অফ লস (Spirit of laws)
রুশ বিপ্লব: এই বিপ্লবের আরও দুটি নাম রয়েছে- অক্টোবর বিপ্লব এবং বলশেভিক বিপ্লব। রাশিয়ার রাজাদের বলা হয় জার। জার দ্বিতীয় নিকোলাস এর সময় রাশিয়া জাপানের সাথে দুটি যুদ্ধ করে। দুটি যুদ্ধেই রাশিয়া পরাজিত হয়। ১৮৯৪ সালে প্রথম যুদ্ধ অনুষ্ঠিত হয় এবং ১৯০৫ সালে দ্বিতীয় যুদ্ধ অনুষ্ঠিত হয়। যুদ্ধে হেরে গেলে জনগণ আন্দোলন শুরু করে।
ফাদার জ্ঞাপন এর নেতৃত্বে যার বিরোধী আন্দোলন শুরু হলে রাজা গুলি চালিয়েছিল। গুলিতে জ্ঞাপন সহ প্রায় ১ হাজার জন নিহত হয়। জ্ঞাপন এর মৃত্যুর পর আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন ভ্লাদিমিন লেনিন। তার দলের নাম বলশেভিক। ১৯১৭ সালের অক্টোবর মাসে লেলিন এর নেতৃত্বে জার বিরোধী আন্দোলন সফল হয়। লেলিন ছিল সমাজতন্ত্র পন্থী নেতা। তিনি ১৯১৯ সালে সমাজতান্ত্রিক সংগঠন ও বিভিন্ন অনুসারীদের নিয়ে একটি সংগঠন করেন যার নাম ছিল Communist International (COMINTERN)
১৯২২ সালে ২৫ ডিসেম্বর সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে ১৫টি স্বাধীন দেশ তৈরি হয়। যার একটি হলো বর্তমান রাশিয়া। উল্লেখ্য যে রুশ বিপ্লবে বিরোধী দল ছিল মেনশেভিক। তাদের নেতা ছিল কেরেনস্কি।
শিল্প বিপ্লব: ১৩৮১ সালে ইংল্যান্ডে কৃষক বিদ্রোহ দেখা দেয়। তখন সিদ্ধান্ত নেয়া হয় কৃষি অর্থনীতির পরিবর্তে শিল্প অর্থনীতি চালু করা হবে। এর প্রেক্ষিতে ১৮ শতকে বাষ্পীয় ইঞ্জিন আবিষ্কার হলে শিল্প অর্থনীতির সূচনা হয়। এই জন্য ১৮ শতককে শিল্প বিপ্লবের বছর বলা হয়। তবে ১৭৬০ সালে যুক্তরাজ্য একটি শিল্প সম্মেলন হয়েছিল। এজন্য ১৭৬০ সালকেও শিল্প বিপ্লব বলা হয়।
এই পর্ব এখানেই শেষ করছি। সবাই ভাল থাকবেন! নিরাপদে থাকবেন! সুস্থ থাকবেন! ধন্যবাদ!
Pragmatic Play is a number one} sport developer providing player-favourites to the most successful international brands in the iGaming industry. Take stated 솔카지노 barcode to your nearby CVS Pharmacy, Family Dollar, and even 7-Eleven, and the cashier can scan it, ring you up at the register, and accept cash. It’s not uncommon to see plenty of different choices together with Ultimate Texas Hold’em, Three Card Poker, Casino Hold’em, Mississippi Stud, and extra. This information goals to give you the data you need to|you should|you have to} resolve on the best gambling web site for you. It indicates the expected wager proportion that a sport returns to the participant over lengthy run|the lengthy term}.
ReplyDeletePost a Comment